ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে টানা তৃতীয় দিনের মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রোববার মৃত্যু বেড়েছে। ইসরায়েল সতর্ক করে বলেছে, এখনও ভয়াবহ পরিণতি আসেনি।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, ইসরায়েল এবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও পারমাণবিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলা চালায়। এর জবাবে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে গভীরে ঢুকে একাধিক ভবনে আঘাত হানে।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড আদম’-এর তথ্যমতে, রোববার পর্যন্ত ইরানে ১৩ জন ও ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। ইরানের জাতিসংঘ দূতের আগের ঘোষণায় বলা হয়, দেশটিতে ৭৮ জন নিহত ও ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় জ্যেষ্ঠ জেনারেল ও শীর্ষ বিজ্ঞানীরা নিহত হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়। তবে ইরান যদি পাল্টা যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করে, তবে “পুরো সামরিক শক্তি দিয়ে” জবাব দেওয়া হবে।’
এদিকে, তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। হামশাহরি ডেইলির ভিডিওতে পূর্ব তেহরানের ‘তেহরান পার্স’ এলাকায় ধোঁয়া দেখা যায়। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে পুলিশ সদর দপ্তরে ড্রোন হামলায় কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হন।
তেহরানে ‘ভালি-এ-আসর’ স্কয়ার ও ‘নিরু হাভায়ি’ (বিমানবাহিনী সদর) এলাকায় ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
বৃটেন তাদের ভ্রমণ সতর্কতায় ইসরায়েলকে ‘লাল’ তালিকাভুক্ত করেছে।