ইরানে ভারী পানির (ডিউটেরিয়াম অক্সাইড মিশ্রিত থাকে) পারমাণবিক চুল্লিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির স্টুডেন্ট নিউজ এজেন্সি’র (আইএসএনএ) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিউটেরিয়াম অক্সাইড মিশ্রিত এই ভারী পানি পারমাণবিক চুল্লি শীতল করার কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে উপজাত পণ্য হিসেবে ওই পানি থেকে প্লুটোনিয়াম পাওয়া যায়। এই উপাদান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগে।
এর আগে, ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে ইরানের ওই চুল্লির আশপাশের এলাকায় বসবাস করা মানুষদের অবিলম্বে অন্যত্র সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
ইরানের কর্মকর্তারা বলেছেন,‘হামলার আগে স্থাপনাটি খালি করে দেওয়া হয়েছে এবং কোনও তেজস্ক্রিয়তার ঝুঁকি নেই।’
পারমাণবিক চুল্লিটি এখনও পূর্ণ উৎপাদনে যায়নি। এটি আগে ‘আরাক’ নামে পরিচিত ছিলো। ২০২৬ সাল থেকে তেহেরান এই চুল্লিটি পুরোদমে চালুর পরিকল্পনা করছিল। যা জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাকেও জানিয়ে রেখেছিল।
২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি সই করে ইরান। সেই চুক্তিতে পারমাণবিক স্থাপনাটির জন্য নতুন করে নকশা করতে রাজি হয় ইরান। এরমধ্য দিয়ে সেসময় পারমাণবিক ইস্যুতে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা করে ইরান।
ইরান জানিয়ে আসছিল, তাদের পারমাণবিক প্রকল্প বেসামরিক উদ্দেশ্যে। এমনকি আরাক পারমাণবিক স্থাপনায় ভারী পানির চুল্লির নতুন নকশা প্রণয়ণে ইরানকে সহায়তা করছিল যুক্তরাজ্য। নতুন নকশায় প্লুটোনিয়াম উৎপাদন কমিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
এ চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ ডলার খরচ করে ইরানের কাছে থেকে প্রায় ৩২ টন ভারী পানি কিনেছিল যুক্তরাষ্ট্র।