যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি, সেটি কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে গেছে মাত্র- এমনটাই দাবি করেছে একটি মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়ন রিপোর্ট।
পেন্টাগনের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (ডিআইএ) প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়নের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। সিবিএস নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
তবে হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, এই মূল্যায়ন ‘‘সম্পূর্ণ ভুল’’ এবং এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ছোট করার একটি ‘‘স্পষ্ট অপচেষ্টা’’।
মার্কিন সামরিক অপারেশনের আগে কয়েকদিন ধরে ইসরায়েল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল। তারা দাবি করেছিল, ইরানের সুবিধা সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার পাউন্ডের বাঙ্কার বাস্টার বোমা প্রয়োজন।
মার্কিন ‘বি-২ বোমারু বিমান’ ফোর্দো জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্ট ও নাতানজ সমৃদ্ধকরণ কমপ্লেক্সে এই বোমা ফেললেও, সূত্রদের মতে, এতে সেন্ট্রিফিউজ ও উচ্চ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি।
জানা গেছে, ফোর্দো, নাতানজ ও ইসফাহান—এই তিন স্থানেই ক্ষতি মূলত ভূমির ওপরের কাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, যা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ অবকাঠামো এবং ইউরেনিয়ামকে বোমা তৈরির জন্য ধাতুতে পরিণত করার ভূমির ওপরের সুবিধা।
মার্কিন হামলার প্রভাব নিয়ে ইসরায়েলের মূল্যায়নেও ফোর্দোতে প্রত্যাশার চেয়ে কম ক্ষতি পাওয়া গেছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের ধারণা, একাধিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্মিলিত সামরিক অভিযান ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে দুই বছর পিছিয়ে দিয়েছে—যদি তারা বাধাহীনভাবে পুনর্নির্মাণ করতে পারে, যা ইসরায়েল মানবে না।
তবে মার্কিন সামরিক অপারেশনের আগেই ইসরায়েল প্রকাশ্যে বলেছিল যে, ইরানের কর্মসূচি দুই বছর পিছিয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। উভয় দেশই স্বীকার করেছে যে বর্তমানে একটি যুদ্ধবিরতি বলবৎ রয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে যুদ্ধে তার দেশের ‘‘ঐতিহাসিক বিজয়’’ বলে দাবি করেছেন। অপরদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তার দেশের জনগণই ‘‘১২ দিনের যুদ্ধের’’ অবসান ঘটিয়েছে।