মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ইরানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা ‘সফলভাবে সম্পন্ন’ হয়েছে।
সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল এক্স আইডি থেকে ট্রাম্পের পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে।
ট্রাম্প জানান, ইরানের ফোরদো, নাতান্জ এবং এসফাহানে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা বর্ষণ করা হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘আমরা আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা শেষ করেছি। ফোরদো ছিল মূল টার্গেট, যেখানে পুরোপুরি বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। সব বিমান এখন ইরানি আকাশসীমার বাইরে এবং নিরাপদে দেশে ফিরছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের “মহান মার্কিন যোদ্ধাদের অভিনন্দন”। এমন অভিযান পৃথিবীর আর কোনো সেনাবাহিনী পরিচালনা করতে পারতো না। এখন শান্তির সময়।’
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে হামলার পর তিনি “শান্তির সময়” বললেও, মধ্যপ্রাচ্যে এই পদক্ষেপের পরিণতি কী হতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ওয়াশিনটন থেকে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, রোববার ভোরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ অভিযানে সরাসরি যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে জানান, ‘ইরানের প্রধান পরমাণু স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, ‘যদি ইরান পাল্টা হামলা চালায়, তাহলে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে “শান্তি না হয় বিপর্যয়।”
ইরানের পরমাণু সংস্থা স্বীকার করেছে যে, ফোরদো, ইসফাহান ও নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা হয়েছে। তবে তারা জানিয়েছে, এসব হামলায় তাদের পরমাণু কার্যক্রম থেমে যাবে না।
ইসরায়েল এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইরানে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে আসছে, যার লক্ষ্য ছিল দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করা এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করা। যুক্তরাষ্ট্রের গোপন স্টেলথ বোমারু বিমান ও ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বিশেষ বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করে গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলো ধ্বংসে সহযোগিতা করেছে।