প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের নিচের দিকের দুই দল—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর টটেনহ্যাম হটস্পার। রেলিগেশন ঠেকাতে হিমশিম খেয়েছে, সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। অথচ তারাই এবার খেলতে যাচ্ছে ইউরোপা লিগের ফাইনালে!
আগামী বৃহস্পতিবার (২২ মে), বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় স্পেনের বিলবাওয়ে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই ক্লাব—যাদের মৌসুমটা যেন একেবারে উল্টো রঙে রাঙানো।
ইউনাইটেড ১৬ নম্বরে, টটেনহ্যাম ১৭ নম্বরে—দুই দলই অবনমন অঞ্চলের কাছাকাছি। অথচ তারা এখন এক জয় দূরে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। শুধু তাই নয়, জিতলেই পেয়ে যাবে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ টিকিট, সঙ্গে সুপার কাপ খেলার সুযোগ।
ইউরোপা লিগ রিব্র্যান্ডিংয়ের পর (২০০৯ সাল থেকে) এতটা নিচে থেকে কোনো ক্লাব ফাইনালে উঠেনি। সেভিয়া ২০২৩ সালে লা লিগায় ১২তম হয়ে জিতেছিল, এবার ইউনাইটেড বা টটেনহ্যাম ১৬ বা ১৭তম হয়েই ট্রফি জিতলে সেটাই হবে নতুন রেকর্ড।
টটেনহ্যাম তাদের লিগ ম্যাচ আগেভাগে খেলে নিয়েছে—যেটায় হেরেছে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ২–০ গোলে। ইউনাইটেডও একই দিনে হেরেছে চেলসির বিপক্ষে ১–০ তে। তবে এখন এসব ভুলে সামনে তাকাতে চায় দুই দলই।
চোটে পড়া কুলুসেভস্কি, ম্যাডিসন আর বার্গভালকে ছাড়াই মাঠে নামবে স্পার্স। ইউনাইটেড দলে অবশ্য নতুন করে কেউ ইনজুরিতে পড়েনি।
টটেনহ্যাম ইউরোপা (তৎকালীন ইউইএফএ) কাপ জিতেছিল ১৯৮৪ সালে। ইউনাইটেড জিতেছিল ২০১৭ সালে। এবার আবার সুযোগ এসেছে ট্রফি জয়ের—এবং সেটাও এমন এক সময়ে, যখন নিজেদের মৌসুমটা প্রায় ধ্বংসের মুখে।
জয়ী দল পাবে ১০.৯৫ মিলিয়ন পাউন্ড, আর রানার্সআপ ৫.৯ মিলিয়ন। সঙ্গে বাড়তি ইনসেনটিভ হিসেবে রয়েছে ইউরোপা সুপার কাপ খেলার সুযোগ, যা অনুষ্ঠিত হবে ইতালির উদিনেতে। এ যেন রূপকথার গল্প। দুই দল যারা লিগে হোঁচট খাচ্ছে, তারাই এখন ইউরোপা লিগের শিরোপার দৌড়ে। জয় মানে শুধু ট্রফি নয়, মানে নতুন শুরু, সম্মান পুনরুদ্ধার, আর সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানো।