দাবির মুখে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read

উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে জড়ানো শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) কর্তৃপক্ষ।

শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. জুলফিকুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক আবু সা-দাত মো. মুনতাসিরবিল্লা  বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সভা করে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা রাত ৮টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন, সে সময়ের মধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। এটাই শিক্ষার্থীদের মূল দাবি ছিল।’

 যারা বহিষ্কৃত ছিলেন, তারা চলতি স্প্রিং সেমিস্টার থেকে ক্লাস চালিয়ে যেতে পারবেন। যাদের দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল, তারা ক্লাসে ফিরবেন ফল সেমিস্টার থেকে, যোগ করেন তিনি।

এর আগে সকালে, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর নতুনবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ঘোষণা দেন, রোববার সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ‘বাংলা ব্লকেড’ ও ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল-ইউআইইউ কর্তৃক অন্যায়ভাবে সব বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত বহিষ্কার প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে; বহিষ্কারের সাথে জড়িত সকল ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা; ইউআইউ-তে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম-অসুবিধা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রিকর্ম দাবিসমূহ বাস্তবায়ন; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং তাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। তারা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।

ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নানা নাটকীয়তা ও বিলম্বের’ মধ্যেও ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ধরনা দিলেও কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি, জানান শিক্ষার্থীরা।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *