লিওনেল মেসি সম্ভবত আর্জেন্টিনার মাটিতে তার শেষ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি খেলে ফেললেন। বুয়েনস আয়ার্সের এ স্টেডিয়ামে আর কি দেখা যাচ্ছে তাকে? হয়তো না। ৩৮ বছর বয়সী এ কিংবদন্তী দুটি গোল করে রাতটিকে স্মরণীয় করে তুললেন। আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে ভেনেজুয়েলাকে পরাজিত করে।
ম্যাচের আগমুহূর্ত অনেকটাই আবেগঘন ছিল। মেসি এটিকে বিশেষ ম্যাচ বলেছিলেন, তার পরিবার গ্যালারিতে ছিল। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি ম্যাচের আগে বলেছিলেন, যদি সত্যিই এটি মেসির শেষ বাছাইপর্বের ম্যাচ হয় তবে এটি হবে অত্যন্ত আবেগময় এবং সৌন্দর্য্যপূর্ণ।
আর্জেন্টিনা আগেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল। তারা ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার তালিকার শীর্ষে ছিল। ভেনেজুয়েলা এসেছিল তাদের প্রথম বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন নিয়ে।
ভেনেজুয়েলার রক্ষণভাগ ভাল শুরু করলেও ৩৯তম মিনিটে মেসি প্রতিপক্ষের জালে বল ঢুকিয়ে দেন। এক দারুণ চিপ শটে তিনি গোল করেন, যা দর্শকদের মাঝে নতুন উন্মাদনা এনে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুর্দান্ত মুহূর্তের জন্ম দেন স্বাগতিকরা। ৭৬তম মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজ হেড করে গোল করেন। চার মিনিট পর আবার গোল করেন মেসি। ৮০তম মিনিটে তিনি শান্তভাবে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান ৩-০ করে তোলেন। এরপর হ্যাটট্রিকের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন ঠিকই, কিন্তু রেফারির অফসাইড পতাকা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে গোল বাতিল হয়।
শেষ বাঁশির পর মাঠে ছিল উৎসবের আবহ। মেসির মা দর্শকদের সঙ্গে হাততালি দিতে থাকেন। সতীর্থরা ড্রেসিংরুমে তার নাম ধরে গান গান। সমর্থকেরা বারবার “মেসি, মেসি” ধ্বনি তোলেন, রাতটি যেন রূপ নেয় অধিনায়কের বিদায় আয়োজনে।
শুধু একটি জয়? আর দশটা ‘মেসি-ম্যাজিকের’ মতো মুহূর্ত? হয়তো। তবে সবকিছু যেদিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ ফুটবলার ঘরের মাটিতে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন।