ইউরোপিয়ান ফুটবলের মর্যাদার সর্বোচ্চ মঞ্চে এবার দেখা হচ্ছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও ইন্টার মিলানের। শনিবার রাতে মিউনিখে (বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ১টা) অনুষ্ঠিত হবে এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। ম্যাচটির গুরুত্ব শুধু ট্রফির জন্য নয়—এটি দুই কোচ, দুই দর্শন ও দুই ভিন্ন ফুটবল কাঠামোর সংঘর্ষও বটে।
পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে সামনে পেয়েছেন ইতিহাস গড়ার সুবর্ণ সুযোগ। ক্লাবটি এখনো ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পায়নি, তবে এনরিকে এসেই বদলে দিয়েছেন দলের চেহারা। মেসি-নেইমার যুগের তারকানির্ভরতা পেছনে ফেলে এবার গড়া হয়েছে একজোট তরুণ দল, যারা বল পজেশন, চাপ মোকাবিলা এবং ছন্দময় আক্রমণে সমৃদ্ধ। ওসমান ডেম্বেলের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে সকলের, অনেকে তো ব্যালন ডি’অরের আলোচনায়ও তার নাম তুলছেন। এনরিকে বলছেন, “এই দল অনেক দূর এসেছে। শুরুটা কঠিন ছিল, তবে সেই সময়গুলোই আমাদের শক্তি দিয়েছে।”
অন্যদিকে, সিমোনে ইনজাগির ইন্টার মিলান এসেছে তুলনামূলক কঠিন পথ পেরিয়ে—গ্রুপ পর্বে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ড্র, এরপর বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনার বিপক্ষে দারুণ জয়। ইনজাগি মনে করেন, “আমরা প্রমাণ করেছি আমরা এখানে আসার যোগ্য। এখন দরকার শেষ ধাপটা পার হওয়া।” ২০২৩ সালের ফাইনালে সিটির কাছে হারের অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগাতে চান তিনি। তার মতে, “ফাইনাল মানেই ছোট ছোট মুহূর্তের লড়াই। আমাদের ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে হবে।”
ইন্টার যদিও চলতি মৌসুমে সিরি আ শিরোপা হাতছাড়া করেছে, তবে ফাইনালের আগে তারা পুরোপুরি ফিট ও প্রস্তুত। ইনজাগি মনে করিয়ে দিয়েছেন, “এই ম্যাচ কেবল পায়ের খেলা না, মস্তিষ্কেরও। মানসিক দৃঢ়তা জরুরি।”
সব মিলিয়ে ফাইনালটি হতে যাচ্ছে কৌশল বনাম ছন্দ, অভিজ্ঞতা বনাম উদ্দীপনার লড়াই। পিএসজি চাইছে ইতিহাস লিখতে, ইন্টার ফিরিয়ে আনতে চায় হারানো গৌরব। শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত কেউই জানে না, ইউরোপের নতুন রাজা কে হবে। তবে এক জিনিস নিশ্চিত—মিউনিখের রাত লিখে রাখবে এক নতুন ফুটবল গল্প।