টয়লেটে পড়ে গেলেন কামরুল

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে হাজতের টয়লেটে পড়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, সোমবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় হাজিরার জন্য তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় আনা হয়।

এরপর পুলিশের অনুমতিতে টয়লেটে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। এতে মাথার পেছনে কেটে গিয়ে রক্তাক্ত হন তিনি। এরপর হাজতখানায় প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যান্ডেজ লাগানো হয়।

কামরুল ইসলামের আইনজীবী নাসিম মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত নভেম্বর থেকে কামরুল ইসলাম জেলহাজতে আছেন। বিভিন্ন মামলায় কয়েক দফায় রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। দিন দিন তার ওজন কমে যাচ্ছে। এ জন্য শরীর দুর্বল।’

তিনি বলেন, ‘আদালতের হাজতখানার টয়লেটে পড়ে গিয়ে মাথার পেছনের দিকে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন তিনি। এরপর পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’

হাজতে মাথায় ব্যান্ডেজ দেওয়ার পর সাবেক এ খাদ্যমন্ত্রীকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই আইনজীবী।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তারেক জোবায়ের বলেন, হাজতখানায় আনার পর আসামি কামরুল ইসলাম টয়লেটে যান। উচ্চ রক্তচাপের (হাই প্রেসার) কারণে মাথা ঘুরে টয়লেটে পড়ে আহত হন তিনি। আমরা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। পরে তাকে কেরাণীগঞ্জ কারা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিন সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা দুদকের একটি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিন ছিল। তবে প্রতিবেদন দাখিল করেনি দুদক।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কামরুল ইসলামের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা জমা হয়। অন্যদিকে এসব ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ১৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। বর্তমানে জমা আছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এই মন্ত্রীর নামে মামলা করে দুদক।

কামরুল ইসলাম ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *