বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে তার সমর্থকরা টানা দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, সকালে ইশরাক হোসেন ফেসবুক পোস্টে চলমান আন্দোলনকে আবারও সমর্থন জানান। তিনি বলেন, ‘ঢাকার রাজনীতির বিষয়ে নতুন উপলব্ধি। এই শহরের রাজনীতির সাথে জড়িত আছে জনগণের আবেগ, স্বনির্ভরতা ও সম্পূর্ণ স্বাধীনচেতা মনোভাব। তারা নিজেদের পছন্দের নেতৃত্ব বা নেতা সম্পূর্ণ নিজেরাই বেছে নেয়।’
সকাল ৯টায় কাকরাইল মসজিদের সামনে শতাধিক নেতা-কর্মীকে বসে ও দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীরা রাতভর সেখানের সড়কে অবস্থান করেন। কেউ কেউ রাস্তার পাশে ত্রিপল বিছিয়ে বিশ্রাম নিয়েছেন। আশপাশের সড়কেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন আরও কয়েকশ’ নেতা-কর্মী।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মৎস্য ভবন সংলগ্ন সড়কে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা ইশরাকের পক্ষে স্লোগান দেন। এতে যান চলাচলে তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। কর্মদিবসের সকালে অফিসগামী মানুষজন বিকল্প পথে যেতে বাধ্য হন।
কাকরাইল মোড়ের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আসা মোটরসাইকেল চালকদেরও উল্টো ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
সকাল ৯টায় একসঙ্গে স্লোগান দিতে দেখা যায় অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের। ‘রাজপথের ইশরাক ভাই’, ‘লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে রাত সাড়ে সাতটার দিকে যোগ দেন ইশরাক হোসেন। তিনি ঘোষণা দেন, মেয়রের দায়িত্ব বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেন। রাত ১২টা পর্যন্ত তিনি কর্মসূচিতে অবস্থান করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
গত ১৪ মে থেকে একই দাবিতে টানা সাতদিন নগর ভবনের প্রধান ফটকে অবস্থান করেন ইশরাক সমর্থকরা। এতে আশেপাশের এলাকায় যানজটের ভোগান্তির পাশাপাশি বিঘ্নিত হয় নগর ভবনের গ্রাহক পরিষেবা।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া নিজেও নগর ভবনে অফিস করতে পারেন নি। পরে তিনি একে ‘গায়ের জোরে নগর ভবন দখলের চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন।
এমন আবহে নগর ভবন প্রাঙ্গণ থেকে সরে এসে বুধবার থেকে ইশরাক সমর্থকরা কাকরাইল মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।