বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিনকে দেওয়া ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে মাত্র চার ম্যাচ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
মে ২ তারিখে আবাহনীর বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে সাদকে ১৬ মে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। বাফুফের আচরণবিধির ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এমন অপরাধের সর্বনিম্ন শাস্তি ছয় মাসই হওয়ার কথা।
কিন্তু সোমবার (২০ মে), সাদ উদ্দিনের জমা দেওয়া একটি ‘রিভিউ আবেদন’ বিবেচনায় নিয়ে কমিটি শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে আনে চার ম্যাচে। যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আপিল করেননি, তার আবেদনের ভিত্তিতেই বিষয়টি আবার খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
ফলে এখন সাদ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় থাকবেন, যা শেষ হবে ২৪ মে। এরই মধ্যে তিনি তিনটি ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন, ২৪ মে আরেকটি ম্যাচ মিস করলেই শেষ হবে নিষেধাজ্ঞা। ২৯ মে কিংসের লিগের শেষ ম্যাচে আবার মাঠে নামতে পারবেন এই ডিফেন্ডার।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, সাদের রিভিউ আবেদনের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে গুঞ্জন আছে, ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই ম্যাচে জাতীয় দলের পরিকল্পনায় থাকা সাদকে পাওয়ার জন্যই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও এক সূত্র জানিয়েছে, শুরুতে যে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছিল, সেটি আসলে ভুল ছিল। ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান নাকি ছয় ম্যাচের শাস্তিকে ভুলবশত ছয় মাস বলে বসেছিলেন!
শেষ পর্যন্ত সাদকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে আচরণবিধির ৪৫ ধারা, ১.এ উপধারায়—যেখানে ম্যাচ কর্মকর্তার প্রতি খারাপ ব্যবহার করলে সর্বনিম্ন চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য, যা শারীরিক হামলার তুলনায় অনেকটাই ছোট শাস্তি।