আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকর্মী রিমান্ডে

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
আদালতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টনে ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু ও নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাঈম ভূঁইয়া, ছাত্রলীগ নেতা মো. রবিউল ইসলাম ও দিপু মোল্লা, যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নাজমুল হাসান সোহাগ, কুমিল্লা জেলা উত্তর শ্রমিকলীগের সাবেক সদস্য সচিব মো. আল আমিন, আব্দুল আলিম ওরফে সোহাগ সিকদার, আরিফ হোসেন ও রবিউল করিম কনকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এছাড়া মো. মোজাম্মেল হোসেন রিপন, জাকির হোসেন ব্যাপারী, শফিকুল ইসলাম শফিক ও মহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে আটক ১১ জন। ছবি: সংগৃহীত

আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ।

রিমান্ড আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাইয়ুম হোসেন নয়ন। আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখিসহ আরও কয়েকজন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের প্রত্যেকের জামিন নামঞ্জুর করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে বিকেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য রাজধানীর পল্টন থানাধীন বায়তুল মোকাররম ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রচারণা চালায়।

এসময় ছাত্র জনতার সহযোগিতায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটের আশপাশের এলাকা থেকে ৮জন আসামিকে আটক করে পুলিশ। এসময় এজাহার নামীয় কয়েকজন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জন আসামি বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটক আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে অন্যান্য আসামিদের নাম ঠিকানা জানা যায়। পরে ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় পল্টন থানায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেছেন উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ খান।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *