ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছে এশিয়া কাপ ২০২৫ এবং নারীদের ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে। পাকিস্তানের মন্ত্রী মোহসিন নাকভির নেতৃত্বাধীন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)–এর প্রতি আপত্তি জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। এতে কেবল টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎই অনিশ্চিত হয়ে পড়েনি, বরং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রশাসনকেও ফেলে দিয়েছে কঠিন পরীক্ষায়।
ভারতের ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং ‘জাতীয় স্বার্থ’-এর কারণে পাকিস্তানি নেতৃত্বাধীন কোনো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ এখন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এক কর্মকর্তা বলেন,
“এসিসি–এর প্রধান যেহেতু পাকিস্তানের একজন মন্ত্রী, আমরা তাতে অংশ নিতে পারি না। এটা পুরো জাতির অবস্থান।”
অপারেশন সিন্দুরের পরিণতি ক্রিকেটেও
জম্মু ও কাশ্মীরের পাহলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত চালায় ‘অপারেশন সিন্দুর’—যা ছিল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক অভিযান। এর জেরেই দুই দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে নেমে আসে এবং তা ছায়া ফেলে ক্রীড়াঙ্গনেও।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ ছিল বিশ্বকাপের আগে বড় প্রস্তুতির সুযোগ। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকেই ঘিরে ছিল দর্শক ও সম্প্রচারের বড় অংশ। তাদের সরে দাঁড়ানোয় আয়োজকরা এখন চাপে পড়েছে। সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে ২০২৩ সালের মতো ‘হাইব্রিড মডেল’ ফের বিবেচনায় আনা হতে পারে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও অনিশ্চয়তা
পিসিবি সামনে আরও বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারে। ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। ভারতের আপত্তির কারণে আইসিসি সেই টুর্নামেন্টের ভেন্যু নিয়েও নতুন করে ভাবতে বাধ্য হতে পারে।
এশিয়া কাপ থেকে ভারতের সরে দাঁড়ানো নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে উপমহাদেশীয় ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে। যতদিন না দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন ভারত–পাকিস্তান লড়াই হয়তো শুধু আইসিসি টুর্নামেন্টেই সীমাবদ্ধ থাকবে—তাও অনিশ্চয়তার চাদরে মোড়া।