গাজা উপত্যকায় শুক্রবার ইসরায়েলের একযোগে বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০৮ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েল বলছে, হামাসকে বন্দিমুক্তিতে চাপ দিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
একইদিন ইয়েমেনের দুটি বন্দরেও হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের দাবি, হুতি বিদ্রোহীরা অস্ত্র পরিবহনে ওই বন্দরগুলো ব্যবহার করছে। ইয়েমেনি কর্মকর্তারা জানান, সেখানে একজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন।
গাজায় নিহতদের মধ্যে ৩১ শিশু ও ২৭ নারী রয়েছে। আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। দক্ষিণ গাজার দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। খান ইউনিসে বোমার আঘাতে পালানোর সময় তিন শিশু ও তাদের দাদা মারা যায়।
উত্তর গাজার জাবালিয়া ও বাইত লাহিয়ায় হামলায় সাধারণ মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়েছন। জাবালিয়ায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়, অনেকে গাধার গাড়িতে, প্রাইভেটকারে ও পায়ে হেঁটে এলাকা ত্যাগ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপসাগরীয় দেশ সফরে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘সেখানে অনেক মানুষ না খেয়ে আছেন, ভয়াবহ অবস্থা চলছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে হবে।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটা শেষ নয়—আরও হামলা হবে।’ ইসরায়েল জানায়, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র তারা প্রতিহত করেছে।