রানের খরা চলছেই, কিন্তু লিটন দাসের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সাফল্যই হয়তো ব্যাটের নীরবতাকে কিছুটা ছাপিয়ে যাচ্ছে।
ওয়ানডেতে শেষবার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ২০২৩ বিশ্বকাপে। তারপর থেকে ব্যাটিং ফর্মে একরকম খরাই। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে লিটনের কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব। বিশেষ করে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩-০ সিরিজ জয়ে লিটনের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—কাঁধে যখন ফর্মের চাপ, তখন নেতৃত্বের বাড়তি ভার সামলানো কি সম্ভব?
‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মানেই যেন পুরো জাতির অধিনায়ক। এটা দেশের সবচেয়ে কঠিন দায়িত্বগুলোর একটা,’ বলছিলেন সালাহউদ্দিন। ‘এই দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি সমর্থন না পেলে সাফল্য পাওয়া প্রায় অসম্ভব।’
লিটনকে অনেকেই শান্ত স্বভাবের বললেও, মাঝে মাঝে সংবাদমাধ্যমে তাঁর প্রতিক্রিয়া হয়ে পড়েছে তীব্র। কিন্তু কোচ মনে করছেন, নেতৃত্বের পর তার ভেতরে এক নতুন পরিপক্বতা এসেছে।
‘শেষ সিরিজে যেটা দেখেছি, সেটা আগের লিটন না। এখন তার কথা বলার ধরন, সিদ্ধান্ত—সবকিছুতেই একটা পরিণত ভাব এসেছে,’ বলেন সালাহউদ্দিন। ‘নেতৃত্ব তাকে বদলে দিয়েছে।’
তবে কেবল কৌশল জানলেই অধিনায়ক হওয়া যায় না, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। ‘ও খেলাটা দারুণ বোঝে—ফিল্ডার কোথায় বসাতে হবে, বোলারদের ব্যবহার কীভাবে করতে হবে—সব বোঝে,’ বলেন কোচ। ‘কিন্তু ওর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা এখন ব্যাটে রান না পাওয়া। এটা বদলাতেই হবে’, যোগ করেন তিনি।
সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অভিজ্ঞতার কথা টেনে সালাহউদ্দিন যোগ করেন, ‘যদি অধিনায়ককে নিজের মতো দল চালাতে না দেওয়া হয়, তাহলে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ারই মানে থাকে না। অধিনায়ক মানেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত।’
সবশেষে মানসিক দৃঢ়তার দিকটাও তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন। ‘অধিনায়কত্ব মানে কেবল খ্যাতি নয়, সমালোচনাও আসে। লিটনকে এই দুইয়ের ভারই নিতে শিখতে হবে,’ বলেন তিনি।