বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার অনুমতি পেলেন কানাডায় জন্ম নেওয়া মিডফিল্ডার শামিত শোম। সোমবার ফিফা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেয়। সব কিছু ঠিক থাকলে জুনে ঢাকায় এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে।
শোম বর্তমানে খেলছেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছিল নাগরিকত্ব ও যোগ্যতা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) থেকে জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট পান তিনি, আর সোমবার মিলেছে ই-পাসপোর্ট। কানাডা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন শুক্রবার তাকে ছাড়পত্র দিলে, বাফুফের আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফিফা থেকে আসে চূড়ান্ত অনুমোদন।
বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “অসাধারণ ব্যাপার হলো, ফিফা এত দ্রুত সিদ্ধান্ত দিয়েছে। শামিতের বিষয়টা তুলনামূলক সহজ ছিল, কারণ কানাডার হয়ে যে দুটি ম্যাচ তিনি খেলেছেন, তা ফিফা উইন্ডোর মধ্যে পড়েনি। আর তার বাবা-মাও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, সেজন্য প্রক্রিয়াটা মসৃণ হয়েছে।”
করিম আরও জানান, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল সরাসরি ফিফার সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, যেটা এই দ্রুত সাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।
এডমন্টনে জন্ম নেওয়া শোম এপ্রিলে প্রকাশ্যে বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহের কথা জানান। এর কিছুদিন আগেই ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশে অভিষেক হয় লেস্টার মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর। শোমের অন্তর্ভুক্তি কোচ হাভিয়ের কাবরেরার জন্য বড় এক প্রাপ্তি হতে পারে, যিনি জুনের ১০ তারিখ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড গুছিয়ে নিচ্ছেন।
ক্লাবের ম্যাচ শেষ করে ১ জুনের পরই ঢাকায় আসার কথা রয়েছে শোমের। এমএলএস এবং কানাডার শীর্ষ লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই মিডফিল্ডার বাংলাদেশের মাঝমাঠে নতুন প্রাণ এনে দিতে পারেন—বিশেষ করে যখন দলে রদবদল চলছে এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা আসেনি।
চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পেলে, এই বছর বাংলাদেশের হয়ে খেলতে যাওয়া তিনি হবেন দ্বিতীয় প্রবাসী ফুটবলার। এটি বাফুফের জন্যও ইতিবাচক ইঙ্গিত, যারা যোগ্য প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী।
শামিত শোমের জন্য এটা কেবল জাতীয় দলে অভিষেক নয়, বরং একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু—যেটা হয়তো বাংলাদেশের ২০২৭ এশিয়ান কাপে খেলার স্বপ্নকে বাস্তবের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।