টাইগারদের দিন ভালো যাচ্ছে না—এ কথা নতুন নয়। তবে এবার সেটা পরিসংখ্যানেও এসে পড়েছে। ৫ মে আইসিসির নতুন র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নেমে গেছে দশম স্থানে—২০০৬ সালের পর এই প্রথম। চার রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে চলে গেছে দল।
এক দশক আগেও যারা ছিল ক্রিকেট বিশ্বের আলোচিত দল, আজ তারা খুঁজছে নিজেদের অস্তিত্ব। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ঘরের মাঠে ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল—এসব যেন এখন অতীতের গল্প।
শেষের গল্পটা একেবারে উল্টো। ২০২৩ বিশ্বকাপে মাত্র দুটি জয়, তারপর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে লজ্জার হোয়াইটওয়াশ। প্রতিবার একই দৃশ্য—টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে, মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়, আর ভক্তরা সোশালে হতাশা ঝাড়েন।
পুরোনো মুখগুলো একে একে বিদায় নিচ্ছে। মাহমুদুল্লাহ নেই, মুশফিকের ভূমিকা ছোট হয়ে এসেছে। শান্ত আছেন অধিনায়ক, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স খারাপ না হলেও দল টানার মতো ছাপ ফেলতে পারছেন না। ঘরের মাঠে স্পিন ভরসা করে যতটা কাজ হয়, বাইরের মাটিতে ততটাই ধরা খাচ্ছে দল।
বোর্ডও যেন নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় ব্যস্ত। ২০২৫ সালের চুক্তি নিয়ে বিতর্ক, সিনিয়রদের বাদ-পড়া—সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খলা। পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টে গভীরতা নেই, নির্বাচনের ধারাবাহিকতা নেই, ভবিষ্যতের পরিকল্পনার ছিটেফোঁটাও নেই।
ক্রিকইনফোর এক বিশ্লেষক খোলাখুলিই বলছেন—“বেঞ্চ গড়তে না পারার খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড় চোট পেলে বা অবসর নিলে দলে পড়ছে ফাঁকা।”
আগস্টে ভারত আসছে বাংলাদেশ সফরে। তার আগে যেন হুঁশ ফিরছে সবার। সময়ের দাবি—পরিকল্পনা, পেশাদারিত্ব আর সাহসী সিদ্ধান্ত।
গর্জন এখন স্তব্ধ ঠিকই—but it’s not over yet. হারানো জায়গা ফিরে পেতে শুরুটা হতে হবে গোড়া থেকে।