গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একে একে মারা গেলেন দগ্ধ পাঁচজনই। সবশেষ রোববার রাতে মারা গেছে তানজিলা নামের ৯ বছরের শিশুটিও।
গাজীপুরের বাসন থানার মোগল খাল এলাকায় ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পাঁচজনের মৃত্যুর এ ঘটনায় তিন পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহতদের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক তাসলিমা ছিলেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার সঙ্গে মারা গেছে নয় বছরের মেয়ে তানজিলাও। আরেক গার্মেন্টস শ্রমিক মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী পারভীন আক্তারও মারা গেছেন। তার সঙ্গে মারা গেছে তাদের দেড় বছরের ছেলে আরাফাত হোসেন আইয়ান। না ফেরার দেশে চলে গেছেন আরেক দগ্ধ সীমা (৩১)।
শিশু আইয়ানের চাচা আরিফ হোসেন জনান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায়। আইয়ানের বাবা মাজহারুল ইসলাম গার্মেন্টস শ্রমিক আর মা পারভীন গৃহিনী। ঘটনার দিন ছেলেকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন পারভিন৷ সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসাটিতে রান্না করছিলেন পারভিন। তখন গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মা ও ছেলে হলে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাসলিমার স্বামী হোসেন আলী জানান, স্বামী ও স্ত্রী দুজনই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বর্তমানে চাকরি ছেড়ে বাসায়ই থাকতেন। স্ত্রী ও কন্যা হারিয়ে হোসেন আলী এখন পাগলপ্রায়।
গাজীপুর বাসনের এ মর্মান্তিক ঘটনার শিকার গার্মেন্টস শ্রমিকরা পাশাপাশি রুমে ভাড়া থাকতেন। গ্যাস সিলিন্ডার বারান্দায় রেখে তারা পাশাপাশি চুলায় রান্না করতেন। সেখানে বিস্ফোরণের কারণে একযোগে পাঁচজন দগ্ধ হন।