আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় ২৫ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি। ছবি: বাসস
Highlights
  • চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর, লাশগুলোকে পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।’

জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এক মাস সময় মঞ্জুর করে, ২৫ মে দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সংবাদ সংস্থা বাসস জানায়, প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) এই আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও ফারুক আহাম্মদ।

এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় আবেদনের বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিলো। তবে তদন্ত পর্যায়ে একটা আমরা একটা ভিডিও শনাক্ত করেছি। সেখানে কারা কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড করেছে, সে বিষয়টি সামনে এসেছে। এসব যুক্ত করে তদন্ত শেষ করতে একটু সময়ের দরকার। তাই আমরা এক মাস সময় চাইলে, আদালত সে সময় মঞ্জুর করেছেন।’

জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে, গত ১৫ এপ্রিল তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল। যে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সেদিন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম ও ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

লাশ পোড়ানোর নৃশংস ঘটনার বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর, লাশগুলোকে পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *