বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ১০০ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক রেজাউল করিমের আবেদনে আদালত জিয়াউল আহসানের ৩টি ফ্ল্যাট, ৫টি বাড়ি ও ৯৯ দশমিক ৯৩ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এসব স্থাবর সম্পত্তির আনুমানিক মূল্যমান ১৫ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। সম্পত্তিগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলায় অবস্থিত। সম্পত্তিগুলোর মধ্যে জমি, কৃষিজমি, বাগানবাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে।
এছাড়া জিয়াউল আহসানের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের (বরখাস্ত) নামে মিরপুর ডিওএইচএসের ১৪৬০ ও ২১১০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং উত্তরায় ২৬০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া বরিশালের কোতয়ালী থানার পৈত্রিক সম্পত্তিতে নির্মিত ৮ তলা নতুন বাড়ি, একই জেলার সদর থানায় বাগান বাড়ি, পুকুরসহ বাড়ি ও ১২৭০ বর্গফুটের ১ তলা পুরাতন বাড়ি, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৮ শতাংশ জমিতে নির্মিত ৮ তলা ভবন রয়েছে তার নামে।
তিনি স্থাবর সম্পদ বিক্রি এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিগুলো ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তিগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান সবশেষে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন। সরকার বদলের পর তিনি দেশত্যাগের চেষ্টা করেন। এ পর্যায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে জেলবন্দি জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। র্যাবে কর্মরত অবস্থাতে জিয়াউল আহসান বেশকিছু বির্তকিত কাজে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ আছে।