দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ১৫ বিচারকের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে এ চিঠি দেওয়া হয়। আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের সমন্বয়ে একটি টিম বিচারকদের দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। দুদক তাদের চিঠিতে ১৫ বিচারকের পার্সোনাল ফাইল, ডেটাশিট ও সম্পদ বিবরণীর অনুলিপি চেয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার তৃতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে আইনমন্ত্রী হিসেবে আনিসুল হক দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিভাগে দুর্নীতি বাড়তে থাকে। তার ঘনিষ্ঠ কিছু বিচারক ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে বিকাশ কুমার সাহা, রেজাউল করিম ও আসাদুজ্জামান নূর ঘুষ গ্রহণ, অসদাচরণ ও নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেন। যা তারা নিজ অথবা পরিবারের সদস্যদের নামে সংগ্রহ করেছেন।
১৫ জনের যে তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেখানে আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) ও সিনিয়র জেলা জজ বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সিএমএম তোফাজ্জল হোসেন ও ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ গৌরাঙ্গ হোসেনের নাম রয়েছে।
তালিকায় আরও আছে মাগুরার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মুশফিকুর ইসলাম, গাজীপুরের সাবেক সিএমএম কাইসারুল ইসলাম, সিলেটের সাবেক জেলা জজ মনির কামাল, নড়াইলের সাবেক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্লা সাইফুল আলম,ময়মনসিংহের জেলা জজ ফারহানা ফেরদৌস, সিলেটের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ, হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সাইফুল আলম চৌধুরী, শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের কামরুন নাহার রুমি, একই ট্রাইব্যুনালের টাঙ্গাইলের শেখ গোলাম মাহবুব ও কিশোরগঞ্জের মাহবুবুর রহমান সরকারের নাম।