এবার গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মানহানিকর বক্তব্য ও খবর প্রচারের অভিযোগে এতে আসামি করা হয়েছে গৃহকর্মী পিংকি আক্তার ছাড়াও চার জনকে। আসামিরা মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচারে যুক্ত বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বুধবার (২৩ এপ্রিল) এ মামলা করেন তিনি। আদালত মামলাটি তদন্ত করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মিরাজ উদ্দিন শিকদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিকেলে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে পরীমনি তার অভিযোগের বিষয়ে প্রথমে জবানবন্দি দেন।
পরীমনি বলেন, ‘আমার বাসায় আরও কয়েকজন গৃহকর্মী কাজ করেন। কেউ কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। পিংকি আক্তার ইচ্ছাকৃতভাবেই আমার বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে চলেছেন। পিংকি আক্তারকে আমি নির্যাতন কিংবা কোনো ধরনের বকাঝকা করিনি। অথচ একটি গ্যাং তাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত অনেক স্পর্শকাতর তথ্য তারা প্রচার করছে। এতে আমি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
পরীমনির মামলায় গৃহকর্মী পিংকি আক্তার ছাড়া ‘সকল খবর’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোর্শেদ সুমন, ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ এন্টারটেইনমেন্ট’, ‘অনলাইন পোর্টাল পিপলস নিউজ’ ও ‘ডিজিটাল খবর’কে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।
পরীমনি আদালতে জানান, একটি সংস্থার মাধ্যমে গত ৫ মার্চ পিংকি আক্তার নামের এক গৃহকর্মীকে নিয়োগ দেন। গত ২৭ মার্চ তাকে ২০ হাজার টাকা বেতন দেন। পিংকি আক্তার গত ২ এপ্রিল তার বাসা থেকে চলে যান। এরপর একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট ও অশ্লীল তথ্য প্রচার করে আসছেন। পিংকির বক্তব্যের কারণে অন্যরাও সেটি ফলাও করে প্রচার করছে। পিংকি আক্তারসহ অন্যরা পরস্পর যোগসাজশে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া ভিডিও প্রচার করেছেন।
চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গত ১৭ এপ্রিল হত্যাচেষ্টার মামলা করেন গৃহকর্মী পিংকি আক্তার। আদালতের নির্দেশে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। এরই মাঝে পরীমনি পাল্টা মামলা করলেন গৃহকর্মীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে।
প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, মামলা, গ্রেপ্তারসহ নানা কারণে কয়েক বছর ধরে আলোচনায় রয়েছেন পরীমনি। গণমাধ্যমে প্রায় নিয়মিত তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পাচ্ছে।