অবশেষে দীর্ঘ নীরবতা ভাঙলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত তারকা সাকিব আল হাসান। একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার রাজনৈতিক যোগ, ব্যবসায়িক জটিলতা এবং ভবিষ্যৎ ক্রিকেট ক্যারিয়ার করলেন খোলামেলা মন্তব্য করেন।
‘নতুন বাংলাদেশ’ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য ভাল হতে পারে, কিন্তু ফলাফল সময়ই বলে দেবে।’
জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কানাডায় তোলা একটি পারিবারিক ছবিকে ঘিরে সমালোচনার জবাবে সাকিব বলেন, ‘ছবিটি আমি দিইনি, কিন্তু সময়টা ভুল ছিল—আমি দায় নিচ্ছি।’
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। লাভের আশায় নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি এখনো দেশের হয়ে খেলতে চাই। একটা সিরিজ বা দুটো, যদি সুযোগ পাই, সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে চাই।’
একইসঙ্গে তিনি খেলোয়াড়দের দিয়ে ম্যাচ পুনর্নির্মাণ করানোর প্রক্রিয়াকে ‘পুরোপুরি অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেন।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমি তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করব, শুধু চাই যেন ন্যায়বিচার হয়।’
ব্যবসা প্রসঙ্গে জানান, তার ৩৫ শতাংশ মালিকানাধীন কাঁকড়া খামার করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
‘আমি ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত, শুধু একটু সুযোগ চাই।’ শেয়ার বাজারে নিজের নামে করা বিনিয়োগ নিয়েও দাবি করেন, ‘আমি নিজের হাতে কোনো ব্যবসা করিনি, শুধু টাকা দিয়েছিলাম।’
এ সাক্ষাৎকারে সাকিব তার অবস্থান পরিষ্কার করলেও তাকে ঘিরে সৃষ্ট বিতর্কের অবসান হবে কি না, তা সময়ই বলবে।