মেহেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশ্যে এক আসামিকে অপহরণের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা সদর থানা হেফাজতে রয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত প্রাঙ্গণে হঠাৎ করে একদল ব্যক্তি আসামি নুরুজ্জামানকে ঘিরে ফেলেন এবং মারধর করেন। পরে তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তোলেন তারা। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাধা দিলে তাদেরও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাঁশবাড়িয়ায় তল্লাশি চালায়। পরে মাইক্রোবাসটি আটক করে নুরুজ্জামানকে উদ্ধার করা হয়।
আসামি নুরুজ্জামানের ভাই রাজু আহমেদ জানান, নুরুজ্জামান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মৃত আফজাল মালিথার ছেলে। তার বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের পারভেজ আশরাফ ২৭ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে একটি মামলা করেন। এই টাকা বিদেশে যাওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছিল।
পারভেজ আশরাফের দাবি, নুরুজ্জামান টাকা নেওয়ার পর বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা এবং হুমকির অভিযোগে মেহেরপুর জজ আদালতে মামলা করা হয়। ওই মামলায় নুরুজ্জামানের এক মাসের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এতে বাদীপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে আদালত চত্বর থেকে তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালায়। পরে মাইক্রোবাস জব্দ এবং অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করা হবে।