প্লট জালিয়াতি: হাসিনা-পুতুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ, ফাইল ছবি
Highlights
  • 'শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে রাজউকে কোনো আবেদন না করেই মায়ের কাছে আবদারপূর্বক আবেদন পেশ করেন পুতুল।'

রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট জালিয়াতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।

বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। আগামী ৪ মে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ১২ জানুয়ারি মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট থাকার পরও তা গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট নিয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, এ প্লট বরাদ্দে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাব ব্যবহার করা হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এই প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদের পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে রাজউকে কোনো আবেদন না করেই মায়ের কাছে আবদারপূর্বক আবেদন পেশ করেন পুতুল। এরপর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বরাদ্দকৃত প্লট নিজ নামে রেজিস্ট্রিভুক্ত করে নেন এবং সরকারি জমি আত্মসাৎ করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।  প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত অপর ১৬ আসামি অবৈধভাবে প্রভাবিত করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনমতে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে আইনবহির্ভূত প্লট বরাদ্দ দেয়।’

‘ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের মালিকানায় ঢাকা শহরে রাজউকের এখতিয়ারাধীন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও সেটি গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা ও আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করে মা শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থাকা অবস্থায় তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করেছেন।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *