রাজধানীতে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুসে

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
ঈদে মিলাদুন্নবীতে রাজধানীতে ‘জশনে জুলুস’। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

হযরত মুহম্মদ (সা.) এর আগমন ও বিদায়ের দিন ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য ‘জশনে জুলুস’ করেছে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া। শনিবার এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম দিক থেকে যাত্রা শুরু করে শোভাযাত্রাটি দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন, কদম ফোয়ারা ঘুরে আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফিরে আসে। এরপর অংশগ্রহণকারীরা উদ্যানের ‘শান্তি মহাসমাবেশে’ মিলিত হন।

শোভাযাত্রায় যোগ দিতে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হন। অংশগ্রহণকারীরা সাদা টিশার্ট ও সাদা ক্যাপ পরে কালেমাখচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন এবং জাতীয় পতাকা হাতে ‘নারায়ে তাকবির’ ও ‘নারায়ে রিসালত’ স্লোগান দেন। এসময় অনেকের হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায়।

শোভাযাত্রা শেষে শান্তি সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারীর উপস্থিতি সবার নজর কাড়ে। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘মহানবী (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত। তার আদর্শ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণকর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।’

‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার শিক্ষা দিয়েছেন। অথচ পৃথিবী জুড়ে আজ চলছে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অমানবিকতা। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন’, যোগ করেন তিনি।

হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন মুসলিমদের শেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহম্মদ (সা.)। একই দিনে তার শাহাদাৎবার্ষিকীও পালন করা হয়। মুসলিম বিশ্বসহ বাংলাদেশেও দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে গুরুত্বসহকারে পালিত হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *