উত্তর থাইল্যান্ডে টাইফুন কাজিকির কারণে হওয়া বৃষ্টি ও ভূমিধসে পাঁচজন মারা গেছেন এবং সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
দেশটির দুর্যোগ সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে ঝড়টি ভিয়েতনামে আঘাত হানে। সেখানে সাতজন মারা যান। ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, ১০ হাজারের বেশি বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানসহ ৮৬ হেক্টর জমি।
থাইল্যান্ডে ঝড়ের প্রভাবে ১২টি প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো চিয়াং মাই, চিয়াং রাই এবং মে হং সন। এতে ৬ হাজারের বেশি মানুষ ও ১ হাজার ৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চিয়াং মাইয়ে ভূমিধসে চারজন এবং মে হং সনে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চিয়াং মাইয়ে আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। পাঁচজন ভূমিধসের মাটির নিচে চাপা পড়েছেন এবং দুইজন পানিতে ভেসে গেছেন।
বৃহস্পতিবারেও আটটি প্রদেশে বন্যা অব্যাহত আছে। সেখানে ১৬০০ বাড়িতে প্রায় ৬ হাজার মানুষ এখনো দুর্ভোগে আছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।এ নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো টাইফুনে বড় ক্ষয়ক্ষতি দেখল উত্তর থাইল্যান্ড।
টাইফুন কাজিকি নিয়ে এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো ধ্বংসযজ্ঞ দেখছে থাইল্যান্ড। এর আগে টাইফুন রেমনেন্টস এ বিপর্যস্ত হয়েছিল দেশটি।