গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় স্বার্থ।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল হওয়ার কিংবা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এ ধরনের আশঙ্কার সুযোগ যেন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষকে সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।‘
নির্বাচন কমিশনের (ইসি)ঘোষিত রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়ে সাকি বলেন, ‘এটি অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনী রোডম্যাপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আমরা নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই।‘
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য রেখে বৃহস্পতিবার রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। নির্বাচনের জন্য ২৪টি ধাপের কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। তা না হলে রাজনৈতিক দলগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নির্বাচনকালীন পরিবেশ ঠিক রাখার দায়িত্ব মনিটরিংয়ের জন্য আন্দোলনকারী সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কিত আচরণবিধি তৈরি করা দরকার।’
দেশের যেকোনো স্থানে যেকোনো সমস্যা অথবা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে তা সমাধান করার জন্য এই কমিটি ভূমিকা রাখবে, বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া, আন্দোলনকারী সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন পরিবেশ, ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং সংশোধনসহ নির্বাচনসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান তিনি।