ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে চলছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের রোমাঞ্চকর ম্যাচ। প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ নারী দল নেপালের বিপক্ষে এগিয়ে আছে ২–১ গোলে। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলায় মাঠ দখল করে রাখলেও নেপাল লড়াই থেকে ছিটকে যায়নি।
পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতে। প্রথমার্ধে ৩টি অন টার্গেট শট নিয়েছে লাল–সবুজ জার্সিধারীরা, যেখানে নেপালের সংখ্যা মাত্র ২। তবে গোলের সামনে সুযোগ কাজে লাগাতে দুপক্ষই সমানতালে লড়েছে। একমাত্র কর্নার কিক পেয়েছে নেপাল। অন্যদিকে বাংলাদেশ সুযোগ তৈরি করেছে পাস আর গতিময় আক্রমণ থেকে।
দলের রক্ষণে দৃঢ় ছিলেন গোলকিপার ইয়ারজান বেগম। গুরুত্বপূর্ণ একটি সেভ করে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রেখেছেন লিডে। রক্ষণভাগে অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাসের নেতৃত্বে ক্রানুচিং মারমা, মমোনি চাকমারা প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলেছেন দক্ষতার সঙ্গে। মাঝমাঠে উম্মা কুলসুম ও থুইনুয়ে মারমার দৌড়ঝাঁপ ছিল চোখে পড়ার মতো। আর ফরোয়ার্ড লাইনে পুর্ণিমা মারমা ও সৌরভী আকন্দ প্রীতি বারবার নেপালের ডিফেন্স ভেদ করে গোলের চেষ্টা করেছেন।
নেপালও অবশ্য আক্রমণ সাজিয়েছে। তাদের একটি শট গোলবারে বাধা না পেলে স্কোরলাইন ভিন্ন হতে পারত। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২৩০০মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে খেলার আলাদা কষ্ট আছে। তবু বাংলাদেশি মেয়েরা লড়াই চালিয়ে গেছে প্রাণপণে। খেলার গতি কখনও ধীর হলেও বলের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করেছে তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের বিপক্ষে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিক সাফল্য চোখে পড়ছে। সেই ধারারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে আজকের ম্যাচেও।
দ্বিতীয়ার্ধ বাকি থাকায় এখনো নির্ধারণ হয়নি ম্যাচের ভাগ্য। নেপাল ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবে, অন্যদিকে বাংলাদেশ চাইবে লিড ধরে রেখে জয় নিশ্চিত করতে। থিম্পুর গ্যালারিতে ভুটানি দর্শকের সামনে দুই দলই তাই দ্বিতীয়ার্ধে নামবে নতুন উদ্যমে।