মুক্তি পেল কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গান ‘বাজি’। গানটির সঙ্গীতায়োজন, পরিচালনার পাশাপাশি গেয়েছেনও ইমন চৌধুরী। তার সঙ্গে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে রয়েছেন হাশিম মাহমুদ।
স্বনামধন্য শহুরে কবি ও সঙ্গীতশিল্পী হাশিম মাহমুদের লেখা ‘বাজি’ গানটিতে ফুটে উঠেছে সাধারণ এক রমনীর অপার্থিব মোহময়ী নিষ্পাপ ও কোমল প্রেমের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসা কণ্ঠ ও সুরের মেলবন্ধন লক্ষ্য করা গেছে গানটিতে, যা প্রেমে পড়ার চিরন্তন ও সার্বজনীন অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে। ইমন চৌধুরী এই গানের সঙ্গীতায়জনে তুলে এনেছেন বৈচিত্র্যময় লোকজ সঙ্গীত, উপজাতীয় বাদ্যযন্ত্রের মাধুর্য্য এবং প্রাণশক্তিতে ভরপুর।
বৃত্তাকার আকারে ঘুরে ঘুরে নাচের সাথে গান করার জন্য বিখ্যাত টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী ‘ধুয়া গানের দল’কেও দেখা গেছে গানটিতে। এতে আরও অংশ নিয়েছেন বংশীবাদক কিয়ো উ প্রু মারমা এবং তার দাদি, ম্রাকোইচিং মারমা। বান্দরবান পাহাড়ের বাসিন্দা ম্রাকোইচিং গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মারমা ভাষায়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বাওম উপজাতিরাও তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে কোক স্টুডিও বাংলার এই গানে। ধ্রুপদী উপজাতীয় নৃত্য পরিবেশনা করেছে তারা। নৃত্য এবং জটিল ছন্দময় পায়ের কাজের জন্য বিখ্যাত নৃত্যশিল্পীরা বাঁশের লাঠি ব্যবহার করে দারুণ ভঙ্গিমায় নেচে বাড়িয়েছেন গানের সৌন্দর্য। পিছিয়ে ছিল না মণিপুরী সম্প্রদায়ের পুং ড্রামাররাও, ‘পুং চোলমের’ অসধারণ অ্যাক্রোব্যাটিক্স পরিবেশন করেছেন তারা, যা গানের গল্পকে করেছে ছন্দময় ও গতিশীল।
গানটি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইমন চৌধুরী বলেন, “কোক স্টুডিও বাংলার ফিরে আসাটা সত্যিই আনন্দের। সেই সঙ্গে আমরা দারুণ উচ্ছ্বসিত আমাদের শ্রোতাদের জন্য ‘বাজি’ গানটি নিয়ে আসতে পেরে।”
গানটি শোনা যাচ্ছে স্পটিফাই ও কোক স্টুডিও বাংলার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।