দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বড় বিনিয়োগ জরুরি: সিপিডি

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত ‘এনডিসি ৩.০: ভবিষ্যৎ টার্গেট’ শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি: শামীম-উস-সালেহীন
Highlights
  • ‘বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ মাত্র ২ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ২০ শতাংশে নিতে হলে ১২ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে।’

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ২ থেকে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

তবে পরিকল্পনায় অসামঞ্জস্যতা, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা ও বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার কারণে এ লক্ষ্য অর্জন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

রোববার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ আয়োজিত ‘এনডিসি ৩.০: ভবিষ্যৎ টার্গেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

আলোচনা সভায় দুটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। সিপিডির গবেষণা সহকারী মেহেদী হাসান শামীন উপস্থাপন করেন ‘এনডিসি ২.০ বাস্তবায়নের অগ্রগতি’ বিষয়ক গবেষণাপত্র।

অপর গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তি যেখানে ২০৪০ সালের মধ্যে জলবায়ু লক্ষ্য পূরণে উপযুক্ত জ্বালানি মিশ্রণ ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ বিশ্লেষণ করা হয়। সিপিডির গবেষণায় উঠে আসে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে না পারলে জলবায়ু অভিযোজন ও নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে যাবে।

সিপিডির গবেষণা বলছে সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিকল্পনায় অসামঞ্জস্যতা এবং উচ্চমাত্রার জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতার ফলে কার্বন নিঃসরণ কমাতে নীতিনির্ধারকদের আরও স্পষ্ট ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

প্রাক্তন বিপিপিএ সভাপতি ইমরান করিম বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ মাত্র ২ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ২০ শতাংশে নিতে হলে ১২ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে।’

এ প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তানজিনা দিলশাদ বলেন, ‘প্রতি পাঁচ বছর পর পর এনডিসি আপডেট করতে হবে। আজকের এই গবেষণা সেই প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে। কার্বন ক্রেডিট বাজারে প্রবেশ করলে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।’

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘নীতিগত অস্পষ্টতা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বজায় থাকলে আর্থিক ও জলবায়ু সংকট আরও ঘনীভূত হবে। এখনই সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।’

সিপিডির সুপারিশ অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারকে সকল জাতীয় পরিকল্পনায় ঐক্য আনতে হবে। পাশাপাশি, নেপাল, ভুটান ও ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশ থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ আমদানি ও আন্তঃসীমান্ত বিনিয়োগ উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংক ও বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের সহায়তা নিয়ে স্বল্প সুদে অর্থায়ন নিশ্চিত করা, গ্রিড অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ সঞ্চয় প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ, এবং রুফটপ সোলার ও মিনিগ্রিড প্রকল্প সম্প্রসারণের ওপরে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *