কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএসের আওতায় ডিলার নিয়োগের উন্মুক্ত লটারি কার্যক্রম বিএনপির নেতাকর্মীদের হট্টগোলের কারণে স্থগিত হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কুমারখালীর আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে এসব ঘটনা ঘটে। হট্টগোলের মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লটারি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার।
বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ডিলারের তালিকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও স্বজনদের নাম রয়েছে। তাই লটারির কার্যক্রম বয়কট করেছেন তারা।
অডিটোরিয়ামে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোছাম্মৎ ফাতেমা তুজ জহুরা, উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান, থানা- পুলিশ, বিএনপি, এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ঘোষণার পর বিএনপির নেতাকর্মীসহ সবাই অডিটোরিয়াম ত্যাগ করেন।

উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ওএমএস এর আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৯৯৭ জন। তারা নিয়োগকৃত ডিলারের মাধ্যমে বছরে ছয়বার ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৩৩টি এবং একটি পৌরসভায় ছয়টিসহ মোট ৩৯টি পয়েন্টে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে।
এজন্য বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় আবুল হোসেন তরুন অডিটোরিয়ামে ডিলার নিয়োগের জন্য উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন কারণে ডিলার নিয়োগ না হওয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সু্বিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ উপজেলার ১৪ হাজার ৯৯৭ ভুক্তভোগী। অথচ অন্যান্য উপজেলায় ১৭ আগস্ট থেকে প্রতিকেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। সে কারণেই ডিলার নিয়োগের এক কর্মসূচি জরুরি ছিল। কিন্তু হট্টগোলের কারণে তা স্থগিত করতে হয়েছে।
এর আগে ১৭ জুলাই কুষ্টিয়া পৌর এলাকার ২১টি ওয়ার্ডে ও এমএস ডিলার নিয়োগের উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠানও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে স্থগিত করা হয়েছিল।