সাদা বলের আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের মূলমন্ত্রই এখন পাওয়ার হিটিং। পাওয়ার প্লে, মিডল ওভার কিংবা ডেথ ওভার; ম্যাচের প্রায় সব ফেজেই ব্যাটাররা খেলেন তেড়েফুঁড়ে। ইনিংসজুড়ে চার-ছক্কা মারার হার বাড়ার সাথে বদলে গেছে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের গতিপথও। অবশ্য এখানেই বছরের পর বছর ধরে পিছিয়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার হিটিংয়ের এই ঘাটতি পূরণ করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিয়োগ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কোচ জুলিয়ান উডকে। এশিয়া কাপের আগ পর্যন্ত লিটন দাসদের সাথে কাজ করবেন এই ইংলিশ কোচ।
ইতোমধ্যে এশিয়া কাপের প্রাথমিক দল থাকা ক্রিকেটারদের সাথে বেশ কয়েকটি সেশনে কাজও করেছেন উড। যদিও সবার আগে স্থানীয় কোচ ও নারী ক্রিকেটাররা পেয়েছেন তার সেশন। সিলেটে আগামী ২০ আগস্ট থেকে শুরু হবে স্কিল ক্যাম্প। এর মাঝে শুরু হবে নেদারল্যান্ডস সিরিজ, উডের সাথে আপাতত চুক্তিও তাই ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সব মিলিয়ে ২৮ দিনের চুক্তি উডের সাথে। স্বল্প এই সময়ে পাওয়ার হিটিংটা কতখানি রপ্ত করলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা? জাকের আলী অনিক অবশ্য মনে করছেন, এখনই মন্তব্য করার সময় আসেনি। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কী উন্নতি হলো, কী না হলো, এগুলো বুঝতে আরেকটু সময় লাগবে। কিন্তু আমাদেরকে যে কাজগুলো দেওয়া হয়েছে, ওই কাজগুলো আমরা করার চেষ্টা করছি। এই সুইং প্র্যাকটিসগুলো কিংবা ডিফারেন্ট ড্রিলসগুলো অবশ্যই কাজে আসবে।’
উড আরো একটা কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নিয়েছেন, সেটা তার সাথে করে আনা প্রো ভেলোসিটি নামের ব্যাট। বিশেষ এই ব্যাট দিয়ে কাজ করলে ব্যাট সুইংয়ের সাথে হ্যান্ড-আই কো অর্ডিনেশন ভালো হয়। বিভিন্ন শট খেলার পর একটা শব্দ হয়, সেই শব্দের মাত্রাই বলে দেয়, ব্যাট সুইংয়ের পর শটের গতি কেমন ছিল।
প্রো ভেলোসিটি ব্যাট নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে হেসেই ফেলেছেন জাকের। এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘যখন যে কয়টা সাউন্ড বের করতে বলে, ওইটা যদি বের করা যায়, তখন ভালো লাগে। কিন্তু অনেক ফোর্স লাগে এটা বের করতে। সাউন্ডটা বের করতে ফোর্স লাগে, আরও এফোর্ট দিতে হয়। তো এই জিনিসগুলো নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করলে অবশ্যই কাজে দেবে।’
জাকের অবশ্য বাস্তবতাও মানছেন, এত অল্প সময়ে পাওয়ার হিটিংটা একেবারে রপ্ত করে ফেলা সম্ভব নয়। নিজস্ব শক্তির জায়গায় জোর দিয়েই সব ব্যাটারের হিটিং রেঞ্জ বাড়াচ্ছেন কোচ উড। খেলার ধরন না পাল্টে কীভাবে আরো ভালো করা যায়, সেই চেষ্টা করছেন জানিয়ে জাকের আরো বলেন, ‘যারা টাইমার, তারা কীভাবে আরও ৪-৫ মিটার বাড়াতে পারে শটের দূরত্ব, সেটা নিয়ে কাজ করার কথা বলেছে। টাইমারদের কিন্তু পাওয়ার হিটার হতে বলেনি সে। টাইমাররা টাইমারই থাকবে। তারা কীভাবে শটের দূরত্ব আরও ৪-৫ বা ৬ মিটার বাড়াতে পারে…এটা হলে যা হবে, আগে যেটা আউট হতো, সেটা এখন ছক্কা হয়ে যাবে।’