রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত থাকা বাংলাদেশি শিক্ষকরা চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করেছেন। সোমবার সকালে বেশ কিছুক্ষণ কোটবাজার চৌরাস্তার মোড়ে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করলে ওই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
চাকরিচ্যুত এসব শিক্ষকরা জানান, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউনিসেফ ফান্ড সংকটের অজুহাতে হঠাৎ করে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষককে ছাঁটাই করেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আবারো রাস্তায় নামেন এবং চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানান।
বিক্ষোভের কারণে সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে সাধারণ যাত্রী ও পণ্যবাহী চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
ট্রাকচালক হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। এখন দুপুর ১২টা বাজে, এক ইঞ্চিও গাড়ি সরাতে পারিনি। আমার গাড়িতে সব কাঁচা মাল। সময়মতো নামাতে না পারলে সবটাই নষ্ট হয়ে যাবে।’
চাকরিচ্যুত শিক্ষক শামিম আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমরা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদানে কাজ করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো বিকল্প ছাড়াই আমাদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগেও আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি, কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা হয়নি।’
তারা দাবি করছেন, দ্রুত তাদের চাকরি পুনর্বহাল না হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসেছেন উখিয়া থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আমরা সংলাপে বসেছি। তাদের শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধানে আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনজিও ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজার চেষ্টা চলছে। জনগণের ভোগান্তি যেন কম হয়, সেটিও আমাদের অগ্রাধিকার।’
তবে এখনো পর্যন্ত ইউনিসেফ বা সংশ্লিষ্ট কোনো এনজিওর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।