ভোট নিয়ে দোদুল্যমানতা কাটল: সালাহউদ্দিন

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
নির্বাচনের সময় ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : ভিডিও থেকে
Highlights
  • ‘এখন সারা জাতি একটি নির্বাচনমুখী পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাবে এবং দেশে নির্বাচনের আবহ সৃষ্টি হবে।’

নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে যে দোদুল্যমানতা ছিল তা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের মধ্যে দিয়ে কেটে গেছে বলে মনে করে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তার ভাষণের মধ্য দিয়ে সেই ঘোষণার জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করছিলাম। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে দোদুল্যমানতা ছিল বলে অনেকে মনে করছিলেন তাদের মধ্যে সে দোদুল্যমানতা আর রইল না।’

মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় দলটি। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘এখন সারা জাতি একটি নির্বাচনমুখী পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাবে এবং দেশে নির্বাচনের আবহ সৃষ্টি হবে। আগামী দিনের নির্বাচন ইনশাল্লাহ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ হবে এবং বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে প্রশংসনীয় নির্বাচন হবে বলে আমরা আশা করি।’

আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বানও জানান বিএনপির এই নেতা।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা মনে করি এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হবে। ব্যাবসা বাণিজ্য বিনিয়োগে কোনো অনিশ্চিত পরিবেশ থাকবে না। সবকিছু সচল হবে এবং গতিশীলতা পাবে।’

গত এক বছর ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা সংষ্কারের জন্য অনবরত সংস্কার কমিশনগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র কাঠামোর যে সংস্কার, যে গণতান্ত্রিক সংস্কার তার একটা পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্যে উপনীত হয়েছি। সেটা আশা করি খুব শিগগিরই ঐকমত্যের ভিত্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্বাক্ষরিত হবে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও যদি আলাপ আলোচনা হয় সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করব ‘

জাতির মধ্যে যে ফ্যাসিবাদ বিরোদী জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটিকে সমুন্নত রাখার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

জুলাই ঘোষণাপত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের যে সমস্ত ঘোষণা তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যথাযোগ্য জায়গায় সংবিধানে সেইটা স্থাপন করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা আগেও দিয়েছিলাম।’

‘জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়াটা সমুচিত হয়েছে। সেটা আমাদের প্রাণের দাবি। তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগির প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টা যেমন দিয়েছেন, সারা জাতি দিয়েছে, আমরাও দিচ্ছি।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *