ইরানে আদালতে সশস্ত্র হামলায় নিহত ৯

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি আদালতে সশস্ত্র হামলা। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি আদালতে সশস্ত্র হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২২ জন।

শনিবার প্রদেশের রাজধানী জাহেদানে এই ঘটনাটি ঘটে। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে সুন্নি সশস্ত্র গোষ্ঠী জাইশ আল-আদল বালুচ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার তথ্যনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে তিনজন হামলাকারী, একজন শিশু, ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা এবং তিনজন নিরাপত্তারক্ষী ও সেনা রয়েছে। বাকি একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রদেশের ডেপুটি পুলিশ কমান্ডার আলিরেজা দালিরি বলেন, ‘হামলাকারীরা দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে ভবনে প্রবেশ করে।

প্রাদেশিক বিচার বিভাগের প্রধান জানান, হামলাকারীরা বিস্ফোরকভর্তি ভেস্ট ও গ্রেনেড বহন করছিল। তারা আদালতের বিচারকদের কক্ষ লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তবে বিস্ফোরকগুলো তারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কিনা—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হামলার পর জাইশ আল-আদল এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৩০ সদস্যকে হত্যা করেছে। বলেছে, বালুচ নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড ও ঘরবাড়ি ধ্বংসের আদেশ দেওয়া বিচারক ও আদালত কর্মীদের লক্ষ্য করেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।

গোষ্ঠীটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘বিচার বিভাগের সব কর্মচারী ও বিচারকরা মনে রাখবেন, বেলুচিস্তান আর তাদের জন্য নিরাপদ থাকবে না। প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত মৃত্যু তাদের ছায়ার মতো অনুসরণ করবে।’

বালুচ মানবাধিকার সংস্থা হালভশ প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হামলায় একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা সদস্য নিহত বা আহত হয়েছেন।

সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশটি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এবং ইরানের সংখ্যালঘু সুন্নি মুসলিম বালুচ জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনী ও সুন্নি বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষের কেন্দ্রস্থল।

দীর্ঘদিন ধরে তেহরানের অভিযোগ, এসব গোষ্ঠীর কিছু বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক এবং চোরাচালান ও বিদ্রোহে সম্পৃক্ত। প্রদেশটি ইরানের অন্যতম অনুন্নত অঞ্চল। বেলুচরা সাধারণত সুন্নি মুসলমান, যেখানে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ শিয়া।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *