মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে যেসব নিখোঁজের নাম আহত বা নিহতর প্রকাশিত তালিকায় নেই, তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকার মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ( সিআইডি) ভবনে গিয়ে ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান বিবৃতিতে এ অুনরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘নিখোঁজদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি পরিবার ডিএনএ নমুনা দিয়েছে। বাকি নিঁখোজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা গেলে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
সবার সহযোগিতা কামনা করে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সিএমএইচ মর্গে রাখা ছয়টি মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায় নি। বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে এসব মরদেহের ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সিআইডি ল্যাবরেটরিতে নমুনার ডিএনএ বিশ্লেষণ করা হবে।’
এদিকে, মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে বুধবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২ জনে।
রাত পৌনে ২টার দিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৪ জনের মধ্যে আরিয়া নাশরাফ নাফি নামের ৯ বছর বয়সী শিশুটি মারা গেছে। শরীরের ৯৫ শতাংশ পোড়া ক্ষত নিয়ে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। নাফি মাইলস্টোন স্কুলের তুতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
নাফির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩১ জন। এ ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৬৫ জন।
এ পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হলে বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী হতাহত হয়। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার পালন করা হয় রাষ্ট্রীয় শোক।