বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের ভালোমানের উন্নতি অর্জনে সহায়তা করতে সামরিক বাহিনীসহ বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদারে ইচ্ছুক চীন।
তিনি বলেন, ‘চীন একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুপক্ষীয় বিশ্ব এবং একটি সর্বজনীনভাবে উপকারী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের পক্ষে। বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।‘
মঙ্গলবার বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘চীনের নীতিতে আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণ বা প্রভাবের ক্ষেত্রগুলোর কোনো স্থান নেই।’
চীন একটি সাধারণ, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই পদ্ধতির ওপর জোর দেয় এমন একটি নিরাপত্তা ধারণা প্রতিষ্ঠার পক্ষে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ ও গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভ (জিসিআই) এগিয়ে নেওয়ার এবং মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের একটি সম্প্রদায় গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানোর ওপর জোর দেন।
চীন সবসময় বাংলাদেশের সকল জনগণের প্রতি সুপ্রতিবেশীসুলভ নীতি অনুসরণ করে আসছে এবং চীন-বাংলাদেশের উন্নত সম্পর্ককে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়েছে, যোগ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ২০২৫ সাল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কারণ, জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধের ৮০তম বর্ষ পূরণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বক্তব্যের শেষে, রাষ্ট্রদূত ইয়াও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, ব্রিকস ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে দর্শকদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিসির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট রিয়ার অ্যাডমিরাল একেএম জাকির হোসেন, বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনীর ১০০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা ও বিদেশি সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিরা।