গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রশাসনের ডাকা ২২ ঘণ্টার কারফিউ চলছে। সকাল থেকে রাস্তায় সাধারণ মানুষ বের না হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমিত পরিসরে মানুষ বের হয়েছে। রাস্তায় ব্যাটারি চালিত অল্প কিছু রিক্সা চলছে।
শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, এখনো পড়ে আছে ইটপাটকেল, বাঁশসহ যান চলাচলে নানা প্রতিবন্ধক সামগ্রী। সড়কের পাশে থাকা গাছ কেটে রাস্তার ওপর ফেলেও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে দেখা গেছে বেশ কিছু স্থানে। আবার সড়ক– মহাসড়কে থাকা বিভিন্ন তোরন ভেঙে ফেলায় রাস্তার ওপর সেগুলো যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। শহরের ঘোনাপাড়া, এলজিইডি মোড়, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, কোট চত্বর, লঞ্চঘাট, কাঁচাবাজার ও পুলিশ লাইনস মোড় ঘুরে কোথাও কোনো চেকপোস্ট বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি।
তবে গোপালগঞ্জ পৌরসভার সামনে কয়েকজন গ্রাম– পুলিশের সদস্য ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।

সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে বিভিন্ন মোড়ে চায়ের দোকান ও রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে। সেখানে মানুষের জটলা দেখা যায়। কাঁচা বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে বেশ কিছু ফলের দোকানে লোকজন ছিলেন।
বুধবার এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও এনসিপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দিনভর সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বুধবার রাত ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ রয়েছে। তবে এ ঘটনায় মামলা, অভিযান বা গ্রেপ্তার হয়েছে কি না তা পুলিশ নিশ্চিত করেনি।
কারফিউ চলাকালে গোপালগঞ্জ শহরে রাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ছিল। জেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে জনগণকে বাইরে না আসার আহ্বান জানানো হয়।