মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ভিন্ন পথে নিয়ে অন্যায়ভাবে বিএনপি ও এর শীর্ষ নেতৃত্ব তারেক রহমানের ‘‘চরিত্র হননের অপচেষ্টা’’ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দেশে সুস্থধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার গণ-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে পরিকল্পিত অপপ্রচার, অশ্লীল স্লোগানের মাধ্যমে আবার ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কণ্ঠস্বরের প্রতিধ্বনিই শোনা যাচ্ছে।
এতে এক লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা বা উপস্থিতির প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও ঘটনার সাথে জড়িত বলে থানায় অভিযোগ থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দলীয় বিশৃঙ্খলার আলোকে আজীবন বহিষ্কারের মতো সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
দলীয় ভাবমূর্তি অন্যায়ভাবে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে আলমগীর বলেন, ‘এরূপ দৃঢ় দলীয় অবস্থান থাকা সত্ত্বেও একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে আমাদের দল এবং শীর্ষ নেতৃত্বের শালীনতা ও চরিত্র হননের দুঃসাহস প্রদর্শন করেছে।’
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনো রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এমন সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, ‘এর মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করার জন্য বিশেষ কোনো মহলের প্ররোচনায় এই ধরনের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।’
পূর্বপরিকল্পিতভাবে নয়ই জুলাইয়ের ঘটনা ১১ই জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর সবচেয়ে প্রাইম টাইমে ইন্টারনেটে ছড়ানো শুরু হয় বলে দাবি বিএনপি মহাসচিবের।
সোহাগ হত্যাকাণ্ডের অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধানের জন্য দলের পক্ষ থেকে একটি ‘তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। যে কমিটি প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও তা জনসম্মক্ষে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন ফলখরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।