২০২৪ সালের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন লিটন দাস। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে সফলতা পেলেও পূর্ণকালীন দায়িত্ব পেয়ে তার শুরুটা হলো হতাশার। আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের পর পাকিস্তান সফরে হোয়াইটওয়াশ। শ্রীলংকাতেও অধিনায়ক লিটনের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হলো হার দিয়ে। সাথে সাদা বলের ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ফর্মটাও হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন্তার কারণ।
সব মিলিয়ে লিটনের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখছেন হেড কোচ ফিল সিমন্স। তবে লিটন যে মাপের ক্রিকেটার, তাতে তার ওপর ভরসা রাখছেন এই ক্যারিবিয়ান কোচ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৮ রান করলো পরের দুই ম্যাচে ৬ ও ২২। গত বৃহস্পতিবার শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আউট হয়েছেন ৬ রানে। জেফ্রি ভ্যান্ডারসের গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি। অথচ এর আগে তানজিদ তামিম-পারভেজ ইমনে দারুণ এক উদ্বোধনী জুটিতে বড় স্কোরের ভিত গড়ে যান। সেই সুযোগ নষ্ট হয় লিটনের বিদায়ে।
তবুও লিটনের ব্যাটেই ভরসা খুঁজছেন সিমন্স। শনিবার ডাম্বুলায় সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের হেড কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় তার আত্মবিশ্বাসটা একটু কমে গেছে। তবে আমরা সবাই জানি, লিটন কী করতে পারে। আমরাও সবাই মিলে কাজ করছি, যেন নিজের সেরাটা সে দিতে পারে। আশা করি পরের ম্যাচেই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ সে রাখবে।’
টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই একটা ইনিংস থাকলেও ওয়ানডেতে লিটনের শেষ ৬ ইনিংসের ফর্ম ভয়াবহ। সব মিলিয়ে করেছেন ৬ রান, ৪ ইনিংসে আছে ডাক। অফ ফর্মের কারণে জায়গা হয়নি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বশেষ মৌসুমের পর তাকে ওয়ানডে দলে ফেরানো শ্রীলংকা সফরে। সেখানেও হাসেনি তার ব্যাট। কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতে ডাক মেরে আউট হয়ে বাকি দুই ম্যাচে বসে ছিলেন সাইডবেঞ্চে।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। রবিবার ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা ৭.৩০টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা।