সরকার আকাশমণি চাষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) বান্দরবান এরিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের নার্সারিতে উৎপাদিত প্রায় আড়াই লাখ আকাশমণি গাছের চারা ধ্বংস করেছে।
শনিবার দুপুরে বান্দরবান পুলিশ লাইন্স এলাকায় বিএটিবি’র নার্সারিতে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
জেলা বন ও পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির পক্ষে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এসএম শাহনেওয়াজ এবং কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় বিএটিবি বান্দরবান এরিয়ার ম্যানেজার রবিউল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএটিবি সূত্র জানায়, প্রতিবছর বনায়ন কর্মসূচির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি এই অঞ্চলে প্রায় ৪০ লাখ ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করে। এর মধ্যে আকাশমণি চারাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তবে চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস চাষ, চারা উত্তোলন ও বাজারজাতকরণসহ এ সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিএটিবি কর্তৃপক্ষ নিজস্ব নার্সারিতে উৎপাদিত আড়াই লাখ আকাশমণি চারা ধ্বংস করে মাটিচাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিএটিবির বান্দরবান স্টেশন-ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশগত দিক বিবেচনায় আমরা কর্মসূচি থেকে ইউক্যালিপটাস প্রজাতির চারা আগেই বাদ দিয়েছি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার আকাশমণিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’