আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। আজকের প্রেস কনফারেন্সে চার দলের কোচ ও অধিনায়কেরা অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার ও অধিনায়ক আফিদা খন্দকার উপস্থিত ছিলেন এছাড়াও ছিলেন শ্রীলঙ্কান নারী দলের কোচ শিরান্থা কুমারা ও অধিনায়ক সান্দুনি সেউমিনি, ভুটান নারী দলের কোচ তানকা মায়া ঘালায়ে ও অধিনায়ক শেন্দু শ্রিং পিলজম এবং নেপাল নারী দলের কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরুং ও অধিনায়ক বিরসানা চৌধুরী।
প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে হবে বলে বাড়তি কোনো চাপ অনুভূত হচ্ছে কি না প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কান কোচ শিরান্থা বলেন ‘বাংলাদেশ অবশ্যই অনেক শক্তিশালী একটা দল, সাম্প্রতিক সময়ে তারা এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে এই ব্যাপারে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা দল তারা যেভাবে খেলছে এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় তবে আমি চাচ্ছি আমার খেলোয়াড়েরা চাপ ছাড়া খেলার চেষ্টা করব।’ এছাড়াও শ্রীলঙ্কান নারী ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেন ‘বাংলাদেশ যেভাবে নিজেদের ফুটবল এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমরাও ঠিক একই পথে আগাতে চাচ্ছি।‘
বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন ধাঁচের ফুটবল খেলবে শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গে তিনি হেসেই উত্তর দেন ‘২০২২ বিশ্বকাপে কিন্তু আর্জেন্টিনা সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে যায়। আসলে প্রতিপক্ষ বুঝে আপনি সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ম্যাচ থেকে ফল বের করা সম্ভব।’
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল বললেই সেখানে নেপালের নাম চলে আসবে, এবারের সাফ নারী অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের লক্ষ্য নিয়ে কোচ ইয়াম প্রসাদ বলেন ‘আমরা জয়ের জন্যই খেলব। আমাদের প্রস্তুতি এবং মানসিকতা সব মিলিয়ে আমাদের দল বেশ উৎফুল্ল।‘ ভারত না থাকায় কি এবার ট্রফি জেতাটা তুলনামূলক সহজ হবে কি না প্রসঙ্গে ইয়াম বলেন ‘অন্য যে কোন দলের মতোই একটা দল ভারত, ভারত অংশ নিলেও আমাদের পরিকল্পনা যেমন হত এখনও আমাদের পরিকল্পনা তাই রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে দিয়েছে, তাই ভারত ছাড়া যে এই টুর্নামেন্ট জেতা সহজ হয়ে যাবে এমন কিছুই না।‘ জাতীয় দল থেকে খেলোয়াড় নেয়ার সুযোগ থাকলেও নেপাল তা করে নি এ বিষয়ে ইয়াম বলেন ‘এই দল থেকে আমরা আমাদের মুল দলে খেলোয়াড় নিতে চাই, এই দলই হবে নেপালের ভবিষ্যৎ দলের চালক তাই এমন টুর্নামেন্টে জুনিয়রদের বেশি করে খেলিয়ে পরিপক্ক করতে চাচ্ছি।’

ভুটান নারী দলের কোচ তানকা মায়া ঘালায়ে এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দেবার আশা করছেন, তিনি বলেছেন ’আমরা এই টুর্নামেন্টে নিজেদেরকে দল হিসেবে আরো গোছানোর চেষ্টা করবো এছাড়াও তরুণীদের মাঝ থেকে উঠতি খেলোয়াড় বের করাও আমাদের লক্ষ্য।‘ ভুটানের আবহাওয়ার সাথে বাংলাদেশের আবহাওয়ার পার্থক্য কি তাদের এখানে মানিয়ে নিতে সমস্যায়
ফেলবে কি না এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুটানের থেকে আলাদা, তবে আমরা চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ নেয়ার, তবে সেটা ভুটানের ভেতরেই ছিল।‘
ভুটানের লিগে বাংলাদেশিদের পারফর্মেন্স প্রসঙ্গে ভুটান অধিনায়ক শেন্দু শ্রিং বলেন ‘হ্যাঁ বাংলাদেশ থেকে আসা খেলোয়াড়দের সাথে মাঠে দেখা হয়েছে আমার, সবাই খেলোয়াড় হিসেবে বেশ ভাল এবং পেশাদার।‘
লিগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ভুটান নারী দলের কোচ তানকা বলেন ‘আমাদের দলের সকল খেলোয়াড় ভুটান লিগে খেলে থাকে এবং এই লিগ থেকেই আমরা চেষ্টা করছি আমাদের দলগুলোকে গুছিয়ে তোলার।
যেহেতু এবারের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ হতে যাচ্ছে রাউন্ড-রবিন লিগ পদ্ধতিতে তাই পরিকল্পিত খেলার ধরণই যে এই টুর্নামেন্টের বিজয়ী নির্ধারণ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রেসের সামনে যে যাই কিছু বলুক না কেন সবারই লক্ষ্য আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফেরা।