টেস্ট ক্রিকেটে গত তিন বছরে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করেছে ভিন্ন সাতটি জুটি। কখনো সাদমান ইসলামের সাথে জাকির হাসান, আবার কখনো জাকিরের সাথে মাহমুদুল হাসান জয়। মাঝে নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসদেরও দেখা গেছে ওপেনিংয়ে। কিন্তু থিতু হতে পারেনি কোনো জুটিই। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে দেখা গেল নতুন জুটি, এনামুল হক বিজয় আর সাদমান। সেই জুটিই শ্রীলংকায় টেস্ট সিরিজের ওপেন করল দুই ম্যাচে।
সাদমানের একটা ফিফটি আর ৪৬ রানের ইনিংস থাকলেও বিজয় বলার মতো কিছু করতে পারেননি। গল টেস্টের দুই ইনিংসে ০ ও ৪। কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসেও খুলতে পারেননি রানের খাতা। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ১৯ রান। তার এই ব্যর্থতার সিরিজে গলে প্রথম টেস্ট ড্র করলেও কলম্বোর দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ৭৮ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয় টেস্টে এমন শোচনীয় হারের কারণ হিসেবে শান্ত নিজেই দায় দিয়েছেন দলের ব্যাটারদের। তবে আলাদা করে অনেকেই দায় দেখছেন বিজয়ের। এই ব্যাপারে সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য বিজয়ের ওপর দোষ দিতে চান না।
এদিকে গত তিন বছরে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১২ ইনিংসে ওপেন করেছেন জাকির-জয় জুটি। কিন্তু যৎসামান্য সাফল্য যা এসেছে, সেখানেও ছিল ধারাবাহিকতার অভাব। তাই অভিজ্ঞতার বিচারেই বিজয়কে দলে নেয়ার কথা বললেন শান্ত। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে তিন বছর পর লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন এই ডানহাতি ওপেনার।
বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘বিজয় ভাইয়ের কথা আপনি যদি বলেন, ৯ হাজার ফার্স্ট ক্লাস রান। ২৪টা সেঞ্চুরি, ৪৯টা ফিফটি। এরকম একটা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে আমরা কেন দলে নেব না। তো ওই চিন্তা করেই তাকে নেয়া হয়েছিল। কারণ আমাদের ওপেনাররা গত কয়েক বছর ধরে স্ট্রাগল করছে। জয়-জাকের কিছু কিছু ম্যাচ ভালো করেছে। তারপর দেখা গেছে সেভাবে দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে পারেনি।তাই আমরা এমন একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় খুঁজছিলাম, যার পেছনে অনেক রান আছে, এই ফরম্যাটে যে কিনা অভিজ্ঞ একটু। এই চিন্তা করেই তাকে দলে নেয়া।’
শ্রীলংকা সফরে ৪ ইনিংসে ২৩ রান করা বিজয়ের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা কাজে লাগেনি, সেই বাস্তবতাও মেনে নিচ্ছেন শান্ত। দলের জন্য এই সিরিজে অবদান রাখতে না পারলেও সামনে সু্যোগ পেলে সেটা বিজয় কাজে লাগাবেন বলেই শান্তর বিশ্বাস, ‘দুর্ভাগ্যবশত দলের জন্য রান করতে পারেনি, যদিও সুযোগ ছিল। দলের পক্ষে রেজাল্ট দিতে পারেনি। তবে আমি এখনো বিশ্বাস করি, সামনে সুযোগ পেলে সে ভালো কিছু করবে। আর ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, তার ওপর দোষ দেয়াটা বোকামি। কারণ দল হিসেবে আমরা এই ম্যাচে ভালো করিনি।’