ভয়াল ‘বি-টু স্পিরিট বোমার!’

টাইমস ন্যাশনাল
2 Min Read
ইরানে হামলায় ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের বি-টু স্পিরিট স্ট্রেথ বম্বার। ছবি: মার্কিন বিমান বাহিনী
Highlights
  • এয়ারস্ট্রাইকে এই বিমান ব্যবহার ইঙ্গিত দেয়, যুদ্ধ এবার ভূখণ্ড নয়, কৌশল ও প্রযুক্তির স্তরে গড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘বি-টু স্পিরিট’ একটি স্টিলথ বোমারু বিমান, যা যুদ্ধবিমানের ইতিহাসে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও অত্যাধুনিক। এটি রাডার এড়িয়ে নির্ভুলভাবে শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালাতে সক্ষম।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালিয়েছে, সেখানে ‘বি-টু স্পিরিট বোমার’-এর ব্যবহারের তথ্য সামনে এসেছে। গভীর ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম এই বিমান এমনভাবে তৈরি, যাতে শত্রুপক্ষ আগাম শনাক্ত করতে না পারে। এর স্টিলথ প্রযুক্তির কারণে এটি শত্রুর রাডারে ধরা পড়ে না।

‘বি-টু স্পিরিট বোমার’-এর একাধিক গুণ রয়েছে; এটি দূরপাল্লার, পরমাণু ও কনভেনশনাল বোমা বহনে সক্ষম এবং অতি নিখুঁত আঘাত হানতে পারে। এর ডিজাইন ‘ফ্লাইং উইং’ ধাঁচের হওয়ায় এটি একাধারে গতিশীল এবং রাডার প্রতিরোধক।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন বিমান খুব কম সংখ্যক রয়েছে। তাই যখনই এই বিমান ব্যবহার করা হয়, তা মিশনের গুরুত্ব বোঝায়।

‘বি-টু স্পিরিট’ একই সঙ্গে আজকের বিশ্বে আধুনিক সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক।

এই বিমানটি প্রথমবার ব্যবহৃত হয় ১৯৯৯ সালে, কসোভো যুদ্ধে। এরপর এটি আফগানিস্তান, ইরাক এবং লিবিয়ায় বিভিন্ন কৌশলগত হামলায় ব্যবহৃত হয়। তবে এবারই প্রথম এটি সরাসরি একটি যুদ্ধে ইরানে আঘাত হানলো, যা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বিমান ব্যবহারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি একটি বার্তা দিয়েছে– শত্রুর কৌশলগত স্থাপনায় আঘাত হানার ক্ষেত্রে তারা দ্বিধাহীন। শুধু ইরান নয়, এটি চীন ও রাশিয়াকেও পরোক্ষ সতর্কতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এয়ারস্ট্রাইকে এই বিমান ব্যবহার ইঙ্গিত দেয়, যুদ্ধ এবার ভূখণ্ড নয়, কৌশল ও প্রযুক্তির স্তরে গড়িয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *