ইরানে হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইরানে হামলার বিষয়ে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। সিবিএস নিউজের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ সূত্র সিবিএসকে জানিয়েছে, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগের বিষয়ে সম্মত হয় কিনা তা দেখার জন্যই ট্রাম্প মূলত হামলা থেকে বিরত রয়েছেন।
বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের আলোচকরা হোয়াইট হাউজে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও তার মতে, এটা কঠিন।
তিনি বলেছেন, তিনি নিশ্চিত নন যে সংঘাত কতটা দীর্ঘ হবে, কারণ ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমি করতেও পারি, নাও করতে পারি।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত তাদের যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ সন্দেহাতীতভাবে তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইরানি জাতি চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ ও চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে এবং এই জাতি চাপের মুখে কারও কাছে আত্মসমপর্ণ করবে না।
এদিকে হোয়াইট হাউসের সামনে একদল বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবি, ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যেন আর জড়িত না হয়।
বিক্ষোভকারীরা ইরানে ইসরায়েলি বোমা হামলা ও ইসরায়েলি বাহিনীকে কোটি কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধে সরাসরি জড়িত না হতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী তিনটি রণতরী বহর মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, এই বহরগুলো যেন কেবল প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে সেখানে থাকে। হামলা না চালায়।