জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, শহীদদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন ও গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ চালু করছে সরকার।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক গেজেট প্রকাশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনসহ গণ-অভ্যুত্থানের মর্ম আদর্শকে ধারণ করে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করাই হবে এ অধিদপ্তরের উদ্দেশ্য।
এর আগে ২৮ এপ্রিল অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হলো।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনে গুরুত্বারোপ করে সাংগঠনিক কাঠামোয় (অর্গানোগ্রাম) জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তরের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত ছাত্র-জনতার তালিকা সংরক্ষণ এবং ডেটাবেজ রক্ষণাবেক্ষণ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণসাধন করবে বলেও এতে বলা হয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদপরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার গেজেট প্রকাশ, গণকবর সংরক্ষণ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য গবেষণা, নীতিমালা প্রণয়ন এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
প্রতিবছর ‘৫ আগস্ট’জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসাবে উদ্যাপিত হবে। এছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কিত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে এই অধিদপ্তর।