ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার নেওয়ার প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক উদ্বেগজনক বার্তায় সবাইকে দ্রুত তেহরান ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোরে ইসরায়েলের ওপর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে অন্তত ৮ জন নিহত হয়। পাল্টা হিসেবে ইসরায়েল সারা দিন ধরে ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা ও ড্রোন হামলা চালায়।
জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিলেও কানাডা সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারে না। ইরান যদি আগেই আমার প্রস্তাবিত চুক্তিতে সই করত, তাহলে এত প্রাণহানি ও মানবিক বিপর্যয় এড়ানো যেত।’
পোস্টের শেষদিকে তিনি ঘোষণা দেন, ‘সবার এখনই তেহরান ছেড়ে যাওয়া উচিত।’
প্রায় ৯৫ লাখ মানুষের বাস ইরানের রাজধানী তেহরানে।
ট্রাম্পের ওই বার্তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরানি সংবাদমাধ্যম জানায়, তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণ ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুলির শব্দ শোনা গেছে।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইরান আবারও নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সেসময় উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে, মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি হামলার সূত্র ধরে নতুন সংঘাতের সূচনা হয়। এর পর থেকে চলমান হামলা-পাল্টা হামলায় ইরানে ২২৪ জন নিহত এবং ইসরায়েলে ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা বেশ পিছিয়ে গেছে।
যদিও ইসরায়েল সরকার ইরানি শাসনব্যবস্থাকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে হামলা চালাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি, তবে এর ফলাফল এমনটিই হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ওদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি ফক্স নিউজে বলেন, ”আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সেনা ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।”
মার্কিন বাহিনী ইতোমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে বেশ কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল। তারা ‘প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান’ বজায় রাখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।