ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের (সাব-ভ্যারিয়েন্টের) সংক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশেও সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ভারত, কেরালা, গুজরাট ও পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে এনবি.১.৮.১ ও অন্যান্য ধরনের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।
এর ফলে বাংলাদেশে সম্ভাব্য সংক্রমণ রুখতে স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং এবং নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ ঠেকাতে পয়েন্ট অব এন্ট্রিতে থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার, হেলথ ডেস্ক সক্রিয় রাখা, এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। ভারতসহ সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ দেশে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এবং অসুস্থ হলে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কোভিড সন্দেহে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআরের) হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বে প্রথম ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারিতে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ২০২৪ সালে কেউ মারা না গেলেও ২০২৫ সালে ঢাকায় একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
নতুন সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সে লক্ষ্যে সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।