২২ বছরের অপেক্ষা শেষ! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব আবারও শিরোপা হাতে তুলল—স্মরণীয়, গর্বের, আবেগঘন এক সন্ধ্যায়। তবে উৎসবের মাঝেই ম্লানতা—এশিয়ান মঞ্চে ফেরার স্বপ্নটা অপূর্ণই রয়ে গেল। এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিং মানদণ্ড পূরণ না করায় তারা খেলতে পারছে না এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে।
ঢাকার শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী স্টেডিয়ামে শিরোপা উৎসব করেছে সাদা-কালোরা, যারা সর্বশেষ শীর্ষ লিগ জিতেছিল ২০০২ সালে। সেই ধানমণ্ডি লিগ থেকে দীর্ঘশ্বাসে মোড়া বহু বছর, অবশেষে স্বপ্নপূরণ ২০২৪-২৫ মৌসুমে।
তবে নিয়ম অনুযায়ী বিপিএল চ্যাম্পিয়নদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলার সুযোগ থাকলেও, তার আগে পেরোতে হয় ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের বাধা। মোহামেডান সেটা পারেনি। ফলে শোনা যাচ্ছে, রানার্সআপ আবাহনী লিমিটেড কিংবা তৃতীয় হওয়া বসুন্ধরা কিংস—যারা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে—তাদেরই একজন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। চূড়ান্ত তালিকা খুব শিগগিরই ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
মোহামেডানের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান গুলাম মোহাম্মদ আলমগীর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম চেষ্টা করতে। এখন যদি না হয়, সেটাও মেনে নিতে হবে।” তিনি ক্লাব সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আবদুল মুবীনের নেতৃত্ব এবং দলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টাকেই এই সাফল্যের কৃতিত্ব দেন।
তবে এক সাবেক খেলোয়াড় সতর্ক করেছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি না থাকলে অনেক তারকাই দল ছেড়ে চলে যেতে পারেন। মাঝমাঠের অভিজ্ঞ সেনানী আলমগীর কবির রানা আফসোস করে বলেন, “এমন সুযোগ তো প্রতি বছর আসে না। আফসোসটা থাকবেই।”
তবু সবশেষে ছিল গর্বের উৎসব। স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ—সমর্থক, সাবেক ফুটবলার, ক্রিকেটার আর কর্মকর্তাদের উল্লাসে। অধিনায়ক সোলেইমান দিয়াবাতে সোনালি লেখা চ্যাম্পিয়নশিপ-ইয়ার জার্সি পরে ট্রফি হাতে ঘুরেছেন মাঠজুড়ে—যেন ২২ বছরের অপেক্ষার প্রতীক হয়ে।